মিঠা পানিতে ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় হওয়ায় গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত নদনদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন, সরবরাহ নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে রোববার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে।এরপরই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ অনান্য মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ধরে আনা ইলিশ জেলেরা বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসছেন নদী উপকূলীয় আড়তগুলোতে। তিন সপ্তাহ পরে আবার ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম হয়ে উঠেছে আড়তগুলো। নিষেধাজ্ঞার আগের চাইতে ইলিশের দামও এখন কিছুটা কম।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট গিয়ে দেখা গেছে, আড়তগুলোতে ইলিশ নিয়ে আসছেন জেলেরা। আবার অনেক জেলে নৌকা ও জাল নিয়ে পদ্মা-মেঘনায় বেরিয়ে পড়ছেন।বরফ ছাড়া এসব ইলিশ জেলেদের উপস্থিতিতে বিক্রি করছেন আড়তদাররা। মুহূর্তের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ইলিশ। পাশাপাশি পাঙ্গাস মাছও বিক্রি হচ্ছে। তবে সংখ্যায় কম। সদরের হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রামের জেলে মো. শরীফ বলেন, ভোরে এক নৌকায় তারা তিনজন মেঘনায় ইলিশ ধরতে নামেন। তাদের পাওয়া ছোট-বড় ইলিশ বিক্রি করেছেন পাঁচ হাজার টাকা। কিছু সময় বিরতি দিয়ে আবার নামবেন নদীতে।নরসিংদী জেলা থেকে তাজা ইলিশ কিনতে এসেছেন কয়েকজন যুবক। তাদের মধ্যে মোস্তাক নামে একজন বলেন, এর আগেও হরিণা মাছঘাটে এসেছেন। তাজা ইলিশ কেনার জন্য এবারও এসেছেন। এ ঘাটের ইলিশে কোনো ভেজাল নেই। ছোট বড় ১৩ হাজার টাকার ইলিশ কিনেছেন তারা। দামও ভালো পেয়েছেন।
ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান ইলিশের প্রাপ্যতা সম্পর্কে বলেন, ইলিশ পরিভ্রমণশীল মাছ। বছর জুড়েই ইলিশ ডিম ছাড়ে। কিন্তু এসময়টাতে সাগর থেকে ডিম ছাড়ার জন্য মিঠা পানিতে আসে। তবে ইলিশের চলার পথ সুগম করলে নদীতেও বছরজুড়ে ইলিশ পাবেন জেলেরা।